
চায়ের ইতিহাসের সাথে শেন নাং নামের এক সম্রাটের একটা গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে শেন নাং অনেক সাস্থসচেতন ছিলেন । যিনি তার প্রজাদের জন্য পানি ফুটিয়ে খাওয়া বাধ্যতামূলক করেছিলেন।সম্রাট একদিন বিকেলে রাজকার্যের ক্লান্তি দূর করার জন্য ক্যামেলিয়া নামক গাছের নিচে বসে ফুটানো গরম পানি পান করছিলেন, তখনি কোত্থেকে যেন কয়েকটি অচেনা পাতা তার গরম পানির পাত্রে এসে পড়লো। পাতাগুলো পানি থেকে বের করার আগেই তার নির্যাস মিশে যেতে লাগলো পানির সাথে আর ভোজবাজির মত পাল্টাতে লাগলো পানির রং! কৌতূহলী সম্রাট শেন নাং ভাবলেন এ নির্যাসও একবার পান করে দেখে নেওয়া যাক। যেই ভাবা সেই কাজ, নির্যাসমিশ্রিত এ পানি পান করার পর নিজেকে অন্যদিনের চাইতে অনেক বেশি চনমনে লাগলো তার! ঘুম ঘুম ভাব কেটে গেলো, ক্লান্তি দূর হলো আর সম্রাটও নতুন স্বাদ পেয়ে খুশি! এরপর অনেক খুঁজেটুজে পাওয়া গেল পাতাটির উৎস- ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’ গাছ। বলা হয় সেই থেকেই চায়ের উৎপত্তি শুরু।
চা এ ৭% থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন যা শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও ২৫% এরও বেশি পলিফেনলস রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। ৮০০ খ্রিষ্টাব্দে জাপানে চা পানের অভ্যাসও চালু হয় মূলত সুস্বাস্থ্যরক্ষার জন্যই। চায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৬৫০ সালে চায়নাতে।
বাংলাদেশে ১৮৫৫ সালে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে শুরু হয় বাণিজ্যিক চা চাষ।